May 20, 2024, 4:45 am

সংবাদ শিরোনাম
শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশের অভিযানে ১৯,৬০০ কেজি ভারতীয় চিনিসহ ০৩ জন গ্রেফতার উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে অভিযানে ৪ আরসা সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে আনুমানিক ছয় কোটি টাকা মূল্যমানের ৮৬০০ লিটার বিদেশী মদসহ ০৩ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ উলিপু‌রে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক কাউনিয়ায় (ব্লাস্ট) এর উদ্দোগে ধর্মীয় সম্প্রীতির উপরে আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে ১ টাকায় ১০ টি পরিবেশ বান্ধব পাখা বিক্রি করছে ফুল জৈন্তাপুরে গভীর রাতে পুলিশের অভিযানে ৬১৫ বোতল মদ ৮ কেজী গাঁজা উদ্ধার রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ ক্ষেতলালে কলেজ প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সার্কেল হিসেবে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানার যোগদান

জাল সনদে ২০ বছর চাকরি অতঃপর

লোটাস আহমেদ শুভ,যশোর প্রতিনিধি::

 

যশোর শহরতলির মোমিননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী দীর্ঘ ২০ বছরাধিককাল ধরে জাল সাময়িক সনদপত্র দিয়ে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মূল সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি।

জানা গেছে, যশোর শহরতলির মোমিননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯৮ সালের পর অফিস সহকারী পদে যোগদান করেন আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি চাকরিতে যোগদানের সময় মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীন আলিম পাশের একটি সাময়িক সনদপত্র জমা দেন। আজ অবধি তিনি সেই সাময়িক সনদপত্রের ভিত্তিতেই চাকরি করছেন এবং বেতন ভাতাদি উত্তোলন করছেন। নিয়ম অনুযায়ী সাময়িক সনদপত্র সাময়িক সময়ের (৩বছর) জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু চাকরি জীবনের ২০ বছর অতিক্রান্ত হলেও আজ পর্যন্ত আবু সাঈদ মূল সনদ জমা দিতে পারেন নি। কেন দিতে পারেন নি সে বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ কোনদিন চায়নি, তাই আনা হয়নি।

আবু সাঈদ যে সাময়িক সনদপত্রটি জমা দিয়েছেন সেখানেও রয়েছে অসঙ্গতি। সাময়িক সনদে শিক্ষাবর্ষ লেখা রয়েছে ১৯৯৮-১৯৯৯ সাল এবং পরীক্ষার সাল লেখা রয়েছে ১৯৯৮, সাধারণ শাখা, বহিরাগত। সেই হিসেবে শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই তিনি আলিম পাশ করেছেন। সাময়িক সনদে তিনি কোন মাদরাসার ছাত্র সেটাও বলা নেই।

শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই কিভাবে আলিম পাশ করলেন জানতে চাইলে আবু সাঈদ বলেন, এটা বোর্ডের ব্যাপার, আমি বলতে পারবো না। মূল সনদপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা আনা হয়নি। কেন আনা হয়নি জানতে চাইলে বলেন, লাগেনি তাই আনিনি। তবে ২০ দিন সময় দিলে তিনি দেখাতে পারবেন বললেও গত দেড় মাসেও তিনি দেখাতে পারেন নি। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন। তারা আমাকে আজ পর্যন্ত কিছুই বলেন নি।

প্রশ্ন উঠেছে, আবু সাঈদ কিভাবে এই দীর্ঘ সময় একটি অসঙ্গতিপূর্ণ সাময়িক সনদপত্র দিয়ে চাকরি করছেন। সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসও আজ পর্যন্ত কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি হার্টের বাইপাস সার্জারি করে বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে যশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আজম জানান, এ বিষযটি আমার জানা নেই। এখন জানালাম। খোঁজখবর নিয়ে কোন অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর